১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল রবিবার (১৯ মে) দুপুর ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শেখ হাসিনা: ‘দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ – শীর্ষক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভযাত্রার প্রাক্কালে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘৪৪ বছর আগে শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলে আমরা পেয়েছি উন্নয়ন, ভোটারাধিকার, মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই দিন কি পরিস্থিতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরেও তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এবং এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ উদ্ধার করার জন্য জীবনের সকল হুমকি ও মায়াকে তুচ্ছ করে আপনাদের কাছে উপস্থিত হয়েছেন।
সেই বঙ্গবন্ধুই রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে এবং এদেশের মানুষের উন্নয়নের বাহক হিসেবে তিনি সেদিন বাংলার মাটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। দৃপ্তকণ্ঠে সেদিন তিনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার তিনি করবেন।’ সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছিলেন।
এটা লক্ষণীয় কোনো সামারি ট্রায়ালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি। সামাজিক ন্যায় পরায়ণ বিচার ব্যবস্থা বুকে নিয়ে তিনি প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছিলেন।
এ দেশের মানুষের জন্য একটা জাতি রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নয়নমূলক, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২১ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থেকেও তার সেই দৃঢ় প্রত্যয় ধরে রেখে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল, মন্ত্রী বানিয়েছিল তিনি সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। এখনও চলমান রয়েছে। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও তাদের সন্তানরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
পরশ আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। এই জন্য সেই অপশক্তিরা আবার সক্রিয় হয়েছে। যেই অপশক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আপনারা সবাই জানেন, তা হলো মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের রাজনীতি। সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছে পর-নির্ভর রাজনীতি। আজকে তারা বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে কিন্তু জনগণের ওপর নির্ভর করে না। তারা নির্ভর করে মিস্টার ল্যু’দের ওপর যে তাদের হাত ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এই স্বপ্ন সেই স্বপ্ন আজকে ব্যর্থ হয়েছে, ধূলিসাৎ হয়েছে। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে এদেশের আপামর জনগণ। তাই আজকের বর্ণাঢ্য র্যালি সেটাই প্রমাণ করে যে জননেত্রী শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে এই উপ-মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার নেতৃত্ব, তার দায়িত্বশীলতা, তার গুণ, তার ধৈর্য তাকে আজকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, দেশের উন্নয়নের যে ধারা, উন্নয়নের সুফল শুধু জনগণের দৌড় গোঁড়ায় পৌঁছে দিলেই হবে না, এই অপশক্তিরা আর কোনোদিন যেন এ দেশের জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে না পারে সে দিকে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা দৃষ্টি রাখবেন। দরকার হলে বুকের রক্ত দিয়ে জনগণের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। মনে রাখবেন আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জি. মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল।