ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাজি আছেন, তবে এর সঙ্গে শর্ত জুড়ে দিতে চান তিনি। শেষ পর্যন্ত কী কী শর্ত দেবেন এবং সেগুলোর পর শান্তি চুক্তির বিষয়টি কী দাঁড়াবে সে ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, ধারণাটি সঠিক এবং আমরা এটিকে সমর্থন করি, তবে এমন প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা করা দরকার।
পুতিন বলেন, যুদ্ধবিরতি এমন হওয়া উচিত যা একটি স্থায়ী শান্তির দিকে পরিচালিত করবে এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করবে। আমাদের আমেরিকান সহকর্মী এবং অংশীদারদের সাথে আলোচনা করতে হবে। সম্ভবত আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলবো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের জন্য ভালো হবে। আমরা এর পক্ষে। তবে এর কিছু অস্পষ্টতাও রয়েছে।
বিবাদের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল। পুতিন বলেছেন, যেখানে ইউক্রেন গত বছর একটি সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছিল এবং কিছু অঞ্চল দখল করেছিল। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া সম্পূর্ণরূপে কুরস্কের নিয়ন্ত্রণে ফিরে পেয়েছে এবং সেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের “কোণঠাসা” করা হয়েছে।
পুতিন সরাসরি না বলেননি এই কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলছিলেন, আসলে তিনি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুতিন অবশ্যই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরাসরি বলতে ভয় পাচ্ছেন যে তিনি এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান এবং ইউক্রেনীয়দের হত্যা করতে চান।
যদিও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘বল এখন রাশিয়ার কোর্টে’, কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি বলছে পুতিন হয়তো ‘বল খেলতে চান না’।
সূত্র : বিবিসি