পাবনার চাটমোহরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেবার অভিযোগে প্রশান্ত কুমার সাহা (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে পাবনা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত প্রশান্ত চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের কালা সাহার ছেলে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রশান্ত কুমার সাহা গত শনিবার (০৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেন। এতে ওই এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন বিকেলে ও রাতে বিক্ষোভ করে।
পরদিন রোববার (১০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বেশকিছু মানুষ একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বল্লভপুর এলাকার সর্বজনীন মহাদেব মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে। এতে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ভাঙচুরের ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে হান্ডিয়াল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাকিল, সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম, থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে তারা। সংশ্লিষ্টতা না থাকায় আটক তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন বিক্ষুব্ধ জনতা ঘেরাও কর্মসূচি তুলে নিয়ে ফিরে যায়।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, সোমবার রাতে আলামিন হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে প্রশান্তর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে অভিযুক্ত প্রশান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।