২০২০ সালে ফাইভজি ফিচারসহ আইফোন১২ উন্মোচনের পর অ্যাপল তাদের পরবর্তী ডিভাইসে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিমার্জন আনেনি। ফলে গত কয়েক বছরে আইফোনের বিক্রিও ধীর হয়ে আসে।
সম্প্রতি অ্যাপল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচারের ওপর নির্ভর করে বাজারে এনেছে আইফোন১৬। টেক জায়ান্টটির প্রত্যাশা ছিল, এআই ফিচারগুলো ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করবে এবং আইফোনের প্রতি ক্রেতা আগ্রহ ও জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু আইফোন১৬ এর প্রাথমিক বিক্রির প্রতিবেদন বলছে, গ্রাহক প্রতিক্রিয়া অ্যাপলের আশা অনুযায়ী তেমন দৃঢ় নয়। (খবর সিএনএন)
গত মাসে প্রি-সেল শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহান্তে আইফোন১৬ বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউনিট, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ কমেছে।
আর্থিক সেবা সংস্থা টিএফ ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক মিং-চি কুও বলছেন, ‘এ সময় বেশি দামের আইফোন, বিশেষ করে ১৬-প্রো মডেলের চাহিদা গত বছরের আইফোন১৫ লঞ্চের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।’
আইফোন সিক্সটিনের প্রি-সেল শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম ওয়েডবুশের বিশ্লেষক ড্যান আইভস পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, প্রি-সেল হবে প্রায় ৪ কোটি ইউনিট। সিএফআরএ রিসার্চের প্রযুক্তি বিশ্লেষক অ্যাঞ্জেলো জিনো বলেছেন, ‘প্রথম সপ্তাহান্তের প্রি-অর্ডার বিক্রির তথ্য গত বছরের তুলনায় একটি নেতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে।’
অ্যাপলের তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটি প্রি-সেলে প্রথম সপ্তাহান্তে ৯৮ লাখ আইফোন১৬ প্রো মডেল ও ১ কোটি ৭১ লাখ প্রো ম্যাক্স মডেল বিক্রি করেছে। এ সংখ্যাগুলো গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ২৭ শতাংশ ও ১৬ শতাংশ কম। অন্যদিকে আইফোন১৬ ও আইফোন১৬ প্লাসের বিক্রি আগের ১৫ মডেলের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, প্রি-সেল মৌসুমে ক্রেতারা কতগুলো ডিভাইস কিনলেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন মডেলগুলো গ্রাহকরা বেছে নিচ্ছেন।
তারা বলছেন, তুলনামূলক কম দামের আইফোন১৬ ও আইফোন১৬ প্লাস মডেলের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে, যা প্রো ও প্রো ম্যাক্স মডেলের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এ প্রবণতা আইফোনের গড় বিক্রয় মূল্য ও মোট আয়কে প্রভাবিত করতে পারে।