বাংলাদেশ থেকে ভারত, চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘শিগগির চীনের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে।’ এ দলের সঙ্গে কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।
গতকাল দুপুর ১২টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুস শহীদ এসব কথা বলেন।
এদিন মন্ত্রী বিশ্বব্যাংক, বেসরকারি সংস্থা ডাসকো, কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড ও সিনজেনটার সহযোগিতায় একটি বাগানে উন্নত প্রযুক্তিতে আম চাষ পরিদর্শনে আসেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টের ও কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জু-উন নাহার চৌধুরী।
এর আগে বাগান পরিদর্শনের সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কৃষক যেন সঠিক মূল্য পান, সেটাই লক্ষ্য। আমরা সিন্ডিকেট হতে দেব না। কিন্তু সিন্ডিকেট যারা করে, সব সমাজেই তাদের সম্পর্ক আছে।’ তিনি সাংবাদিকদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বেশি বেশি লেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বেশি করে লেখেন, কথা বলেন বেশি করে।’
সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আম পচনশীল পণ্য। একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরাও চাই কিছু সময়ের জন্য আম সংরক্ষণ করতে। অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আট বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে চাই। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশী-বিদেশী সহযোগিতায় এটা করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আম রফতানির জন্য ২৫০-৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রফতানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে।’