চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডু উপজেলার গহীন পাহাড়ি এলাকায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে অস্ত্র তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার। এর আগে মঙ্গলবার উপজেলার ছিন্নমূল পাথরিঘোনা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- একই এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) ও মো. ইউসুফের ছেলে মো. ইমন (২৪)।
র্যাব জানায়, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ছিন্নমূল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় র্যাব। যেহেতু এলাকাটি দুর্গম, সেহেতু সেখানে অপরিচিত কাউকে দেখলেই অস্ত্র তৈরির সঙ্গে জড়িতরা সতর্ক হয়ে যেতেন। একারণে অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা ছিল কঠিন বিষয়। সবশেষ র্যাবের একটি দল পাহাড়ি এলাকার ভেতর দিয়ে বিশেষ কৌশলে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে। এতে চক্রের সদস্যরা টের পায়নি। এরপর র্যাব কারখানার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাগান বাড়ির টিনের দোচালা ঘরে অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ দুজনকে আটক করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র স্থানীয় জলদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাত দলের সদস্যদের কাছে বিক্রি করে আসছে। গ্রেফতারকৃতরা ৭-৮ বছর ধরে অস্ত্র তৈরির পেশায় জড়িত। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলের দৃষ্টি এড়াতে মাঝে মাঝে লোক দেখানো কৃষিকাজ করতো। মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সীতাকুন্ডু থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, বিশেষ ক্ষমতা, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকদ্রব্য পাচারসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।