সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ-তিননান্দিনা-বোয়ালিয়া বিলের মাঝে প্রায় ১২ বছর আগে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালভার্টের দু’পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় তিন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলাসহ কেনাবেচায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার কৃষক।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার রাস্তা নির্মাণের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা আলোর মুখ দেখছেনা।
জানা যায়, ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মিত হয়। কালভার্ট নির্মিত হলেও নির্মিত হয়নি এর দু’পাশের সংযোগ সড়ক।
একারণে আশপাশের তিন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এক যুগের বেশি সময় ধরে। সংযোগ সড়ক না থাকায় কালভার্টের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমনকি নারী, শিশু, বৃদ্ধরা এর ওপর দিয়ে চলাচল না করে পাশের জমির আইল রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালভার্ট এর দু’পাশে প্রায় ৭ ফুট উঁচু থাকলেও সংযোগে মাটি নেই। সংযোগ সড়ক না থাকায় এটি ব্যবহারের উপযোগী না। ব্রিজের দক্ষিণ পাশ দিয়ে জমির আইল দিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। এরান্দহ গ্রামের কৃষক মোদাচ্ছের আলী, মজিবর রহমান ও শওকত আলী বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় জমি থেকে ধান-সরিষা কেটে বাড়ি নেয়া যায় না।
অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে ফসল মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়। বিশেষ করে তিন নান্দিনা গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয়রা কালভার্টের পূর্ব পাশে একটি বটগাছ লাগিয়েছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা আলোর মুখ দেখছে না।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে, দ্রুত ব্রিজটির দু’পাশে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।