শিশিরঝরা হেমন্তের ঘনঘোর অমাবস্যা তিথিতে আজ দীপাবলির আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে চারদিক। হিন্দুরা মনে করেন, এই মাহেন্দ্র লগনে আবির্ভাব ঘটবে কালী দেবীর। আজ রবিবার শ্যামা পূজা। ভূভারত হয়ে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করবে দীপাবলি উৎসব। ন্যায়ের জয় আর পারলৌকিক আঁধার সরিয়ে ফেলার কামনায় তারা নৈবেদ্য দেবে তাদের কালীমাতার পাদপদ্মে। মঙ্গলশিখায় হিন্দু গৃহগুলো আলোকিত করে রাখা হবে। নিশি উপবাসের পর আগামীকাল অন্নকুট মহোত্সব আর সন্ধ্যা আরতি দেওয়া হবে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, আজ সন্ধ্যায় দীপাবলি ও মঙ্গল শিখা প্রজ্বালন এবং দিবাগত রাতে শ্যামাপূজা। সোমবার প্রসাদ বিতরণ, এক দিন পরেই বুধবার ভাইফোঁটা ও অতিথি আপ্যায়ন, আরতি।
শ্যামাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ দেশের পূজামণ্ডপগুলোতে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা ধর্মীয় উৎসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সংগঠনসমূহ হলো মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শশ্মান কমিটি, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, শ্রীশ্রী শিবমন্দির।
দীপাবলি বা দিওয়ালি উৎসব নিয়ে হিন্দু পুরাণ কাহিনী ও ইতিহাস থেকে হরেক রকম তথ্য পাওয়া যায়। পুরাণ কাহিনিমতে, ক্ষীর সাগর মন্থনের পর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে অমৃতভান্ড হাতে সমুদ্র থেকে ধন্বন্তরি উঠে এসেছিলেন। তাই তিথির নাম ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী (ধনতেরাস)। ঐ দিন একই সঙ্গে স্বর্গচ্যুত দেবী লক্ষ্মীও সমুদ্র থেকে উঠে আসেন। তারপর অমৃতের ভাগ নিয়ে দেবাসুরের লড়াইয়ের পরে লক্ষ্মীদেবী পুনরায় স্বর্গে ফিরে যান এই কার্তিকি অমাবস্যার রাতেই। সেই ঘটনার স্মরণেই অমাবস্যার রাত সাজানো হয় প্রদীপ জ্বালিয়ে।