বাংলাদেশে “রক্তদহ বিল” নামের বেশ কয়েকটি বিল রয়েছে, যেগুলোর নামের পেছনে ঐতিহাসিক ঘটনা বা লোককাহিনির ছোঁয়া আছে। এই বিলগুলোর পানি রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল – এমন কিংবদন্তির কারণে এগুলোর নাম হয়েছে “রক্তদহ”, অর্থাৎ রক্তে রঞ্জিত জলাশয়।
সারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি রক্তদহ বিলের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে বগুড়ার আদমদিঘী ও নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা, দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি বিল রক্তদহ বিল নামে পরিচিত। আমাদের আলোচ্য বিষয় বগুড়ার আদমদিঘী ও রাণীনগর নওগাঁর রক্তদহ বিল। যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জলাশয়।
অবস্থান:
বগুড়া জেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ও সান্তাহার পৌরসভা থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে, সান্তাহার ইউনিয়নের অর্ন্তগত, আদমদীঘি উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণে রাণীনগরের পারইল ইউনিয়ন এবং আত্রাই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে, নন্দীগ্রাম উপজেলা পর্যন্ত এই বিলের অবস্থান। সান্তাহার, সান্দিড়া, দমদমা, করজবাড়ি, আদমদিঘী, বোদলা, পালশা, কৃষ্ণপুর, তেবাড়িয়াসহ ৪০টি গ্রাম বিলটিকে বৃত্তাকারে ঘিরে রেখেছে।
রক্তদহ বিল ও রক্তদহ নদী:
রক্তদহ নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি নদী। এটি বগুড়ার আদমদিঘী ও নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। তেরটি খাল ও অন্যান্য জলপথ রক্তদহ বিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। এই নদীর একাংশকে বিলের মতো দেখায় এবং এটি অন্যতম বৃহৎ বিল। তাই রক্তদহ নদীই রক্তদহ বিল।
আয়তন:
বিলটির আয়তন প্রায় ২৫০ দশমিক ৪৭ একর এবং ব্যাপ্তি প্রায় ৫২ কিলোমিটার।
ইতিহাস রক্তদহ বিলের আগের নাম ছিল ’বিল ভোমরা। ১৭৭৬ সালে ফকির মজনু শাহের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে ’বিল ভোমরায়’ একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলে বিলের পানি রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বলে কথিত আছে। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের প্রচুর লোক হতাহত হওয়ায় বিলের পানির রং হয়ে ওঠে রক্তলাল। সেই থেকে বিল ভোমরা ঐতিহাসিক ’রক্তদহ বিল’ নাম ধারণ করে আছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য:
রক্তদহ বিল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। একেক ঋতুতে একেক রুপ ধারণ করে থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক জলাশয় এবং বিভিন্ন ধরনের পাখি, মাছ ও উদ্ভিদ রয়েছে যা স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করে।
রক্তদহ বিলের বিশেষত্ব হল এর প্রাকৃতিক পরিবেশ, যেখানে অনেক ধরনের জলজ প্রাণী ও পাখির বসবাস। বিশেষ করে শীতকালে এখানে বহু পরিযায়ী পাখি আসে, যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পাখিপ্রেমীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।
এই বিলটি স্থানীয় জনসাধারণ যেমন কৃষক, জেলে, কামার, কুমার, তাঁতী, খেয়াঘাটের মাঝি, পাটির মতো কুটির শিল্পের সাথে যুক্ত, পেশাদার হাঁসের খামারী, সৌখিন হাঁসের খামারী, শ্রমিক শ্রেণিসহ বিভিন্ন ধরনের পেশার মানুষের জীবনযাত্রার সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য:
বর্ষাকালে বছরে চার থেকে পাঁচ মাস পানি থাকে বিলটিতে। বর্ষা ও শরৎ ঋতুতে এই বিল পানিতে থই থই করে। এ সময় রক্তদহ বিলের মূল আকর্ষণ নৌকাভ্রমণ। নৌকায় হালকা ঢেউয়ে দোল খেতে খেতে ভেসে বেড়ায় পর্যটকেরা। রূপবদলের এই বৈচিত্র্যে শরতের রক্তদহ বিল সবচেয়ে সুন্দর রূপ ধারণ করে। স্থির জলরাশির দিকে তাকালে কখনো নীল আকাশ, গোধূলিলগ্নে ডুবন্ত রক্তিম সূর্য, আবার কখনো সাদা মেঘের ভেলার দেখা মেলে। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ সাজ। তাই রক্তদহ বিলে নিরাপদ নৌকাভ্রমণের জন্য শরৎই শ্রেষ্ঠ সময়। নওগাঁর রানীনগর ও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার যেকোনো অংশ থেকে নৌকা নিয়ে ভেসে যাওয়া যায় বিলের গভীরে। যত দূর চোখ যায়, শুধু টলটলে স্বচ্ছ পানির প্রাচুর্য। ভেসে থাকা কচুরিপানার দল, জলজ গুল্মলতা আর জলরাশির দিগন্তরেখায় গ্রামগুলোকে মনে হয় যেন কোনো শিল্পীর তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা সবুজ রঙের খেলা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য:
গ্রীষ্মকালে নদীর প্রবাহ ধীরে ধীরে শ্লথ এবং পরে বন্ধ হওয়া, উপরিভাগের মাটির ব্যাপক কর্ষণ, বিলের অপেক্ষাকৃত নিম্ন ভূমিতে পলি পড়ে ভরাট হওয়া এবং সংস্কারের অভাবে দিন দিন তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ফাল্গুণ, চৈত্র, বৈশাখ মাসে বিলের তলানিতে থাই সমান কাদার উপর ফুট দেড়েক পানির উপর দিয়ে কোন মতে নৌকা চলে। এই কয়েক মাসে জনসাধারণ ঠিক মতো নৌকাও ব্যবহার করতে পারে না আবার পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারে না। একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নওগাঁ, বগুড়া, রাণীনগর, আদমদীঘি, সান্তাহারে চলাচলের সহজপথ হচ্ছে বিলের মধ্যদিয়ে রাস্তা। বিলের মধ্য দিয়ে মেঠোপথ কিংবা খেয়াঘাট ব্যবহার করে তারা যাতায়াত করে।
শুষ্ক মৌসুমে বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার রক্তদহ বিল এলাকার মানুষ নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়। বর্ষাকালে বিলটি পানিতে পূর্ণ থাকলেও শীতকাল বা শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে জীবিকা, পরিবেশ ও দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়ে।
জীবিকা ও মাছ শিকার সংকট:
•রক্তদহ বিলে অনেক মানুষ মাছ ধরার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় মাছের সংখ্যা কমে যায় এবং জীবিকা ব্যাহত হয়। তাছাড়া ব্যাপক আকারে কারেন্ট জাল, বানা ব্যবহারে, কুয়া সেচের মাধ্যমে মা মাছ ও ছোট ছোট মাছ নিধনের ফলে ক্রমান্বয়ে দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে।
•অনেক সময় বিলের পানি একদল প্রভাবশালী লোক দখলে নিয়ে মাছ চাষ করে, এতে স্থানীয় দরিদ্র জেলে রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চাষাবাদে সমস্যা:
•পানি না থাকায় জমি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষিকাজ নির্ভর করে ব্যয়বহূল গভীর নলকূপের পানির ওপর। ভূ গর্ভস্ত পানির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নীচে নেমে যাচ্ছে। চাষাবাদ শুরু হলে কিছু এলাকায় জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পরিবেশগত ক্ষতি:
•জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়, যা স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে।
•পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র কমে যায়, ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
অবকাঠামোগত সমস্যা:
•শুকনো মৌসুমে বিলের কাদা ও উঁচু-নিচু জমির কারণে চলাচলে অসুবিধা হয়।
•স্থানীয়ভাবে রাস্তা, সেতু বা কালভার্টের অভাব থাকায় কৃষিপণ্য পরিবহন কঠিন হয়ে পড়ে।
•কৃষক ছাউনি না থাকায় মাঠের ফসল তোলার সময় বিশ্রাম নিতে পারে না। আবার বজ্রপাত কিংবা শিলাবৃষ্টির সময় আশ্রয় নিতে পারে না।
•খাবার পানির ব্যবস্থা না থাকা।
দখল ও অনিয়ম:
•কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি শুষ্ক মৌসুমে বিলের জমি দখল করে অবৈধভাবে চাষাবাদ বা মাছ চাষ শুরু করে। এতে সাধারণ কৃষক ও জেলেরা তাদের প্রথাগত অধিকার হারায়।
রক্তদহ বিলের সম্ভাবনা:
আদমদিঘী ও রাণীনগর উপজেলার দুই পাশেই বিস্তৃত রক্তদহ বিল একটি প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় অঞ্চল রাণীনগর উপজেলায় অবস্থিত এ রক্তদহ বিল যেখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। ইরি মৌসুমে প্রচুর ধান হয়। যা স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
শুষ্ক মৌসুমে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হলেও, সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রক্তদহ বিল এই অঞ্চলের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে রক্তদহ বিলের মাঝখান দিয়ে একটা যোগাযোগের মাধ্যম অত্র এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী। যার মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণ খুব সহজেই আদমদিঘীর সান্তাহার পৌরসভার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তদহ একটি প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্রপূর্ণ একটি বিল। যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। কিন্তু যদি এই বিলের মাঝ বরাবর রাস্তা করা হয় তবে রক্তদহ বিল তার ঐতিহ্য হারাবে। এখন যেটুকু জলাধার হিসেবে অবশিষ্ট আছে সময়ের আবর্তনে তাও হারিয়ে যাবে। রাস্তা হওয়ার সাথে সাথে রাস্তার দুই পাশে বিল কেন্দ্রিক দোকান পাট বসতে শুরু করবে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে রাস্তাকে কেন্দ্র করে সামনের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে, রাস্তার মাটি ক্রমান্বয়ে সরে গিয়ে বিলের অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চল ভরাট হয়ে যাবে ফলে অল্প বৃষ্টিতেই বন্যা হবে এবং শুষ্ক মৌসুমে বিলের কোন অংশে পানি থাকবে না। এতে যেমন কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, তেমনি বিল কেন্দ্রিক নিম্ন আয়ের মানুষের পারিবারিক আয় থেকে বঞ্চিত হবে। এক্ষেত্রে বিশেজ্ঞরা চলনবিল বিলের মাঝখান দিয়ে বনপাড়া-হাটিকুমরুল সড়ক ও কিশোরগঞ্জের সড়কে উদাহরণ দেন। তারা বলেন, চলনবিলের মাঝ দিয়ে মাহাসড়ক হওয়ার কারণে চলনবিলের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল তা আজ বিলীনের পথে, বিলুপ্তির পথে দেশিয় প্রজাতির বিভিন্ন রকম মাছের এবং হুমকির মুখে বাস্তুসংস্থান। পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে। এ কারণে শুধু রক্তদহ বিল নয় বাংলাদেশের আনাচে কানাচের সকল বিলই সংরক্ষণ করতে হবে। তাইতো এই বিলের রয়েছে অপার সম্ভাবনা।
কৃষি ও ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা:
শুষ্ক মৌসুমে বিলের জমি নতুন পলিতে উর্বর হয়ে ওঠে, যা বোরো ধান, আলু, পেঁয়াজ, সরিষা, পাতি ইত্যাদি চাষের জন্য উপযুক্ত। সেচ সুবিধা এবং খাল খননের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব।
হাঁসের খামার ও বোরো চাষ:
রক্তদহ বিলকে কেন্দ্র করে প্রচুর হাঁসের খামার গড়ে উঠতে পারে। এই হাঁসই আবার বোরো ধানের জমিতে পোকা মাকড় খেয়ে প্রাকৃতিকে উপায়ে বোরো উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং স্থানীয় জনসাধারণের কর্মসংস্থাপনের পাশাপাশি মাংসের চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
মৎস্য খামার ও জলজ সম্পদ:
•সারা বছর ধরে বিলের একটি অংশে কৃত্রিম জলাশয় রেখে পরিকল্পিত মাছ চাষের মাধ্যমে এলাকার জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব।
•মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সুযোগ থাকলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার সম্ভাবনা:
•শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য বিলটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
•নৌকা ভ্রমণ, পাখি দেখা, স্থানীয় খাবার ও সংস্কৃতি ঘিরে পর্যটন উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
•স্থানীয়ভাবে হাট-বাজার, কুটির শিল্প, হস্তশিল্পের বিকাশ ঘটানো যেতে পারে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
•ঐতিহাসিক কোচমনির দরগা যা দর্শকদের আকর্ষণ করে
নারী ও যুবসমাজের অংশগ্রহণ:
•কৃষি, মৎস্য চাষ, হাঁস পালন ও কুটির শিল্পে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো গেলে স্বনির্ভরতা ও পরিবারে আয় বাড়ানো সম্ভব।
•প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা যায়।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়ন:
জলজ উদ্ভিদ, মাছ ও পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি টেকসই ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা সম্ভব।
•শিক্ষামূলক ইকো-ট্যুরিজম ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে।
অবকাঠামো উন্নয়নের সুযোগ:
•বিলপাড়ে রাস্তা, সেতু, বাজার ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম সহজতর হবে।
•সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যেতে পারে।
•বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, যেমন, কৈ, শিং, পুঁটি, টাকি, খলসে, টেংরা,মাগুর, বোয়াল, চিতল, আইড়, গজার, পাবদা ইত্যাদি।
আদমদিঘী ও রাণীনগরের মানুষ যদি রক্তদহ বিলের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তবে এই বিল হতে পারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, পরিবেশগত ভারসাম্য ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতীক।
——————————————————
ই-মেইলঃ tozammel.dascoh@gmail.com