1. chalanbeel.probaho@gmail.com : News :
  2. khokanhaque.du@gmail.com : khokan :
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

ইলেক্টনিক সিগারেট ব্যবহার কি নিরাপদ !

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১১৭ বার পঠিত

আমাদের দেশের তরুণদের মাঝে ব্যবহার বেড়েছে ইলেক্টনিক সিগারেট, ভেপ এবং হিটেড টোব্যাকোর। এসব পণ্যের ব্যবহার যদিও কম তবে এসব পণ্যের ব্যবহার সাধারণ সিগারেটের ব্যবহারের তুলনায় ক্ষতি অনেক বেশি বলে মনে করেন অনেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নিকোটিনযুক্ত ই-সিগারেট আসক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং এটি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ।

 

ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব

ই-সিগারেট ব্যবহারে তাৎক্ষনিক কোনো ক্ষতি না হলেও এর দীর্ঘ মেয়াদি স্বাস্থ্যগত প্রভাব এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এর উপাদানগুলো বিষাক্ত। এসব রাসায়নিক ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া এটি মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে ভ্রূণের বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি ই-সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়াও পথচারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

 

অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি

আসক্তি সৃষ্টি: ই-সিগারেট ব্যবহার করলে মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়ে, যা নেশার অনুভূতি তৈরি করে এবং আসক্তির ঝুঁকি বাড়ায়।

রক্ত সঞ্চালনে বাধা: ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ গরম হয়ে ফরমালডিহাইড তৈরি করে, যা রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত করতে পারে।

ফুসফুসের ক্ষতি: ই-সিগারেট থেকে নির্গত ফ্রি র‍্যাডিকেলস ফুসফুসের কোষের জন্য বিষাক্ত। এটি ব্রঙ্কাইটিস ও শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি: ই-সিগারেট ব্যবহারে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং আকস্মিক কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দ্বৈতভাবে সিগারেট ও ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঝুঁকি: ই-সিগারেটে ব্যবহৃত ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে, যা মারাত্মক শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা

বিশ্বের ১২১টি দেশ ই-সিগারেট নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত করেছে, যার মধ্যে ৩৯টি দেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভারতের মতো দেশগুলো ই-সিগারেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

 

করণীয়

ই-সিগারেট যে স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়, বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার রোধে প্রয়োজন কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত